বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯
English Versionস্বাস্থ্য ডেস্ক: ২৪ এপ্রিল ১৯: সহনীয় মাত্রার চেয়ে দ্বিগুণ-তিনগুণ তীব্রতার শব্দে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রাজধানী ঢাকার অর্ধকোটির বেশি মানুষ। প্রতিদিনই নাগরিকদের বিরক্তিবোধ, মাথাধরা, মেজাজ খারাপ, ঘুমের ব্যাঘাতসহ নানা মনোদৈহিক সমস্যা সৃষ্টি করছে এই শব্দদূষণ। নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, এমনকি ব্যক্তি আচরণে। ঝুঁকি বাড়াচ্ছে হৃদরোগের। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নানামুখী আইন আর উচ্চ আদালতের দুদফায় নির্দেশনা জারির পরও প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না নীরব এই ঘাতককে। বরং উচ্চ শব্দে মাইক বাজানোর প্রতিবাদ করতে গিয়ে হামলার শিকার, এমনকি প্রাণ হারাতেও হচ্ছে কাউকে না কাউকে। এভাবে শব্দদূষণের তীব্রতা অব্যাহত থাকলে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে রাজধানীর মোট জনসংখ্যার তিন ভাগের এক ভাগই কানে কম শুনবেন। যাদের একটি অংশ পুরোপুরিই বধির হয়ে যাবেন বলে আশঙ্কা চিকিৎসকদের। এ পরিস্থিতিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের একমাত্র ভরসা জনগণের সচেতনতা আর অভ্যাসের বদল। এই প্রেক্ষাপটে আজ বুধবার পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেনতা দিবস। এবারের শব্দ সচেতনতা দিবসের প্রতিপাদ্য : ‘শ্রবণযন্ত্রের সুরক্ষা, স্বাস্থ্যের সুরক্ষা’।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, বিশ্বব্যাংকের একাধিক গবেষণায় সারা বিশ্বের মানুষের ৩০টি কঠিন রোগের অন্যতম কারণ হিসেবে শব্দদূষণকে চিহ্নিত করা হয়েছে।দেশের বৃহৎ দুটি চিকিৎসাকেন্দ্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও বারডেম হাসপাতালে রোগীদের অভিযোগ, মারাত্মক শব্দের কারণে তারা শান্তিতে ঘুমাতে পারেন না।
শব্দদূষণের প্রাকৃতিক উৎস যেমন বাজ পড়া বা মেঘের গর্জন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলেও মনুষ্যসৃষ্ট শব্দদূষণ পুরিপুরিই আয়ত্তে আনা সম্ভব। নিয়ন্ত্রণযোগ্য এসব শব্দদূষণের প্রধান কারণ হচ্ছে গাড়ির হর্ন। পাশাপাশি ইটভাঙার মেশিন, জেনারেটরসহ কলকারখানা, বিমান উড়া, ট্রেনের হুইসেল, মিউজিক বা মাইক, আতশবাজি থেকে শব্দদূষণ ঘটছে। তবে রাজধানীতে শব্দদূষণের ভয়াবহতার জন্য দায়ী যানবাহন ও এর হর্ন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শব্দদূষণের কারণে সাময়িক বা স্থায়ীভাবে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থী, শিশু, হাসপাতালের রোগী, ট্রাফিক পুলিশ, পথচারী ও গাড়িচালকরা।শব্দদূষণ প্রতিরোধে আপাতত জনসচেতনতা ও সংশ্লিষ্টদের অভ্যাস বদলের ওপরই নির্ভর করছে।
পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান
শাহজাদপুরে সরকারি ও ভারতীয় ওষুধসহ আটক ১
যেসব খাবার একসঙ্গে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর
স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এডিবি-পিপিপি’র চুক্তি স্বাক্ষর
শিশু ও নারী নির্যাতনের বিষয়ে সতর্ক থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
জিনোমিক গবেষণায় যুক্ত হচ্ছে এশীয় জিন
গাজীপুরে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ৫ ইটভাটা
দেশে ক্ষুধার সমস্যা কমছে, সূচকে উন্নতি
দেশে বায়ুদূষণের প্রভাবে অ্যাজমা বেড়েছে ২৪ গুণ, সিওপিডি ৫০