মোহিনী পৃথুলা, ৬ এপ্রিল, ২০২১: ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। ১৯৪৮ সালে প্রথম স্বাস্থ্য সমাবেশে এর সূচনা হলেও, ১৯৫০ সালে কার্যকর হওয়ার পর থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই দিবসটি উদযাপন করছে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা তৈরি ও বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান করার জন্য।
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২১ – এ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিপাদ্য- ‘ সবার জন্য ন্যায্য, সুস্থ পৃথিবী গড়ি’।
আমাদের পৃথিবী আজ অসমান। পৃথিবীর কিছু মানুষ জন্মগতভাবেই ভাল পরিবেশ, সমাজ, শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা পায়। দারিদ্র তাদের জীবনে দেখা দেয় না। অথচ পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষ, অশিক্ষা, ক্ষুধা, বঞ্চনা, চিকিৎসাহীন পরিবেশে বড় হয় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়েও অনেক দেশের মানুষ বাস্তুহীন হয়ে পড়ছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, পশ্চিমা প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলি দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মাইগ্রেশন এবং নগরায়নের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। এটি অনেকের জন্য উন্নত জীবনের সুযোগ তৈরি করলেও অন্যকে পিছনে ফেলেছে। কোভিড ১৯ মহামারী, আরও বেশি মানুষকে দারিদ্র্য এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার দিকে ঠেলে দিয়েছে, এবং লিঙ্গ, সামাজিক এবং স্বাস্থ্যগত অসাম্যকে প্রশস্ত করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অভিযানের অংশ হিসাবে, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সকল অসাম্য দূরীকরণের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছে – যাতে তারা আরও সুন্দর, স্বাস্থ্যবান বিশ্ব গড়ে তুলতে পারে। অভিযানটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাংবিধানিক নীতি তুলে ধরে যে “স্বাস্থ্যের সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা গ্রহণ উপজাতি, ধর্ম, রাজনৈতিক বিশ্বাস, অর্থনৈতিক বা সামাজিক অবস্থার ঊর্ধ্বে প্রতিটি মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার।”
তবে, স্বাস্থ্য বৈষম্যগুলি দূর করতে বিশেষত দুর্বল ও প্রান্তিক গোষ্ঠীর দিকে বেশি মনোযোগ দেয়া উচিত।
কোভিড-১৯ সমস্ত বিশ্বকে কঠোরভাবে আঘাত করেছে। কিন্তু যারা এই অবস্থায় আগে থেকেই ঝুঁকির মধ্যে ছিলো, তাদের অবস্থা আরো করুণ হচ্ছে দিনের পর দিন। ফলে তাদের স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার সুযোগ কমে যাচ্ছে।
ফলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তাঁরা নতুন ভবিষ্যত গড়ার প্রকল্পে- সবার মাঝে সুন্দর জীবন এবং সুস্বাস্থ্য পৌঁছে দেন। পাশাপাশি স্বাস্থ্য অসমতাগুলি পর্যবেক্ষণ করে তা দূরীকরণের মাধ্যমে মূল প্রতিপাদ্য ‘ সবার জন্য ন্যায্য, সুস্থ পৃথিবী গড়ি’ কে সফল করেন।